ফসল টমেটো
রোগের নাম :
মোজাইক রোগ
রোগের অন্য স্থানীয় নামঃ
নেই
রোগের কারণ :
ভাইরাস
ক্ষতির লক্ষণ:
সাদা মাছি পোকা এই রোগ ছড়ায়। এ রোগের আক্রমণে পাতা কুকড়ে আকারে ছোট হয়ে সবুজ রঙ নষ্ট হয়ে হলদে ভাব ধারণ করে। বয়স্ক পাতা শক্ত ও মচমচে হয়ে যায়। গাছ খাটো হয়ে যায় ফলে ঝাটার মতো দেখায়। বেশি আক্রান্ত হলে গাছ ঝোপালো হয়ে যায়। আক্রান্ত গাছের ডগায় ছোট পাতা গুচ্ছ আকার ধারণ করে। আক্রমণ বেশি হলে গাছের বৃদ্ধি অনেক কমে যায়, ফুল ও ফল ধরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
প্রধান ক্ষতির লক্ষণ:
আক্রান্ত গাছের পাতা স্বাভাবিক সবুজ রঙ হারিয়ে হালকা সবুজ কিংবা ফ্যাকাশে হলুদ রঙের বিভিন্ন আকৃতির ছোপ ছোপ রঙ ধারণ করে আক্রান্ত বেশি হলে পাতা শুকিয়ে যায়। চারা অবস্থায় গাছ আক্রান্ত বেশি হলে খর্বাকৃতির হয় বা মরে যায়। আক্রান্ত গাছে ফুল ও ফল কম হয়।
দমন ব্যবস্থা:
সুস্থসবল গাছ হতে বীজ সংগ্রহ করতে হবে ও রোগাক্রান্ত গাছ তুলে ফেলতে হবে। আক্রমণ বেশি হলে ম্যালাথিয়ন জাতীয় কীটনাশক (যেমন-ফাইফানন অথবা সাইফানন) ১০ লিটার পানিতে ১০ মিলিলিটার (২মুখ) অথবা এডমায়ার কীটনাশক ২.৫ মিলিলিটার (আধামুখ) ১০ লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে। আধাভাঙ্গা নিমবীজের পানি (১ লিটার পানিতে ৫০ গ্রাম নিমবীজ ভেঙ্গে ১২ ঘন্টা ভিজিয়ে রেখে ছেঁকে নিতে হবে) আক্রান্ত গাছে ১০ দিন পর পর ৩ বার স্প্রে করলে পোকা নিয়ন্ত্রন করা যায়।
ফসলের যে পর্যায়ে আক্রমণ করে :
বাড়ন্ত পর্যায় , চারা , পূর্ণ বয়স্ক , যেকোন অবস্থা
ফসলের যে অংশে আক্রমণ করে :
আগা , পাতা , ডগা , কচি পাতা , ফুল
অন্যান্য:
সতর্কতাঃ সকল বালাইনাশকই বিষ। তাই বালাইনাশক ব্যবহারের পূর্বে এবং সংরক্ষণের সময় প্রয়োজনীয় সতর্কতা অবলম্বন করুন। অতিরিক্ত মাত্রায় বালাইনাশক ব্যবহার স্বাস্থ্য ও পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর।
তথ্যের উৎস:
বাংলাদেশের শাকসবজি চাষ ডাঃ মোঃ আনিছুর রহমান জুন ২০০৯, ১ম প্রকাশ