ফসল পাট
রোগের নাম :
কাণ্ডপচা ( Stem Rot)
রোগের অন্য স্থানীয় নামঃ
নেই
রোগের কারণ :
ছত্রাক
প্রধান ক্ষতির লক্ষণ:
বীজ অঙ্কুরোদগমের সময় বীজদল এবং এর নিচের কাণ্ডের উপর গাঢ় বাদামি রঙের দাগ পড়ে। এই দাগ ক্রমে বড় হয়ে সম্পূর্ণ বীজকে পচিয়ে ফেলে। এর ফলে মাটি হতে বীজ গজানোর পূর্বেই গাছ মরে যায়। আবার কখনও মাটির উপরে আসার পর বীজ গজিয়ে পচে যায়। অনেক সময় অঙ্কুরিত বীজ হতে উৎপন্ন চারাগাছ কিছুটা বড় হওয়ার পর গরম আবহাওয়ায় চারা গাছের কাণ্ড দুর্বল হয়ে পড়ে এবং আক্রান্ত গাছ ভাঙ্গিয়া নেতিয়ে পড়ে। বড় চারাগাছে প্রথমে পাতার ফলক আক্রান্ত হয়। এর পর পাতা হতে রোগ বোঁটায় ছড়িয়ে পরে। আক্রান্ত পাতার ফলক দুর্বল হইয়া অনেক সময় ঢলে কাণ্ডের গায়ে লেগে যায়। এর ফলে দাগ ক্রমশ বাকলে বৃদ্ধি পায়, পরে বাকল পচে যায়। বাকলের এই পচনের ফলে অনেক সময় গাছ মারা যায়।
দমন ব্যবস্থা:
পাটের কাণ্ড পচা রোগ নিয়ন্ত্রনের জন্য রোগ মুক্ত গাছ থেকে সুস্থ বীজ সংগ্রহ করতে হবে। রোগমুক্ত ও সুস্থ বীজ বপন করলে রোগাক্রমের সম্ভবনা কিমি. থাকে। বপনের পূর্বে পাট বীজ ছত্রাক নাশক দ্বারা শোধন করে নিতে হবে। বীজ শোধনের জন্য ভিটাভেক্স ২০০(০.৪%) অথবা প্রোভেক্স-২০০ (০.৪%) ৪ গ্রাম ছত্রাক নাশক প্রতি কেজি বীজের সাথে ভালভাবে মিশিয়ে নিতে হবে অথবা রসুন বাটা ১২৫ গ্রাম প্রতি কেজি বীজের সাথে ভালভাবে মিশিয়ে রোদে শুকাতে হবে। বপনের আগে বীজ শোধনের ফলে রোগের প্রকোপ অনেক কমে যায়। শোধন করা সম্ভব না হলে বপনের আগে বীজ রোদে শুকাতে হবে। পাটের শিকড়,আবর্জনা ও পরিত্যক্ত অংশ একত্রিত করে পুড়িয়ে ফেললে রোগের উৎস কমে যায়। ফলে রোগ সংক্রমন হ্রাস পায়। রোগ প্রতিরোধী জাতের বীজ ব্যবহার করে রোগ প্রতিরোধ করা যায়। আক্রমণ বেশী হলে ডাইথেন এম-৪৫ অথবা ম্যানার এম- ৪৫ অথবা এনডোফিল এম-৪৫ প্রতি ১০ লিটার পানিতে ২০গ্রাম ঔষধ মিশিয়ে গাছের গোঁড়ার মাটিতে ২/৩ দিন পর পর স্প্রে মেশিনের সাহা্য্যে ছিটিয়ে এ রোগের আক্রমণ কমানো সম্ভব। (তথ্যসুত্রঃ পাট কেনাফ মেস্তার রোগ ও নিয়ন্ত্রন- বিজেআরআই) "
ফসলের যে পর্যায়ে আক্রমণ করে :
চারা
ফসলের যে অংশে আক্রমণ করে :
কাণ্ড
তথ্যের উৎস:
উদ্ভিদ রোগবিজ্ঞান ও শস্যের রোগ। লেখকঃ হাসান আশরাফউজ্জামান। । পাট কেনাফ মেস্তার রোগ ও নিয়ন্ত্রন। বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইন্সটিটিউট।