ফসল | পাট |
রোগের নাম : | শিকড় পচা (Root rot) |
রোগের অন্য স্থানীয় নামঃ | নেই |
রোগের কারণ : | ছত্রাক |
প্রধান ক্ষতির লক্ষণ: | ছোট ও বড় উভয় প্রকার গাছই এই রোগ দেখা যায়। আক্রান্ত গাছের ডগা ঢলে পড়ে। মাটির সংলগ্ন গাছের গোঁড়ায় বাদামি অথবা কালো রঙের দাগ পড়ে। এই দাগ ক্রমশ উপরের দিকে বড় হয় এবং আক্রান্ত অংশের কোষে পচন ধরে । সবশেষে সম্পূর্ণ গাছটাই ঢলে পড়ে এবং শুকিয়ে মারা যায়।
|
দমন ব্যবস্থা: | জমি আগাছা মুক্ত রাখতে হবে। পাট কাটার পর জমির আগাছা, আবর্জনা একত্রিত করে পুড়িয়ে ফেলতে হবে। নীরোগ পাট গাছ থেকে বীজ সংগ্রহ করতে হবে। গাছের ৭০% ফল পাকলেই বীজ কেটে ফেলা উচিত। দেরি করলে ছত্রাক সংক্রমিত হওয়ার সম্ভবনা থাকে। আক্রান্ত জমিতে ২-৩ বছর তোষা পাটের আবাদ না করে দেশি পাটের আবাদ করা যেতে পারে। ঢলে পড়া বা শিকড় পচা কবল থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য প্রধান উপায় হল বীজ শোধন। বীজ বপনের আগে জন্য ভিটাভেক্স ২০০ (০.৪%) / প্রভেক্স-২০০(০.৪%) ৪ গ্রাম ছত্রাক নাশক প্রতি কেজি বীজের সাথে ভাল ভাবে মিশিয়ে ব্যবহার করতে হবে অথবা রসুন বাটা ১২৫ গ্রাম প্রতি কেজি বীজের সাথে ভাল ভাবে মিশিয়ে রোদে শুঁকাতে হবে। বপনের আগে বীজ শোধনের ফলে রোগের প্রকোপ অনেক কমে যায়। শোধন করা সম্ভব না হলে বপনের আগে বীজ রোদে ভালভাবে শুঁকাতে হবে। জমিতে চারা অবস্থা থেকে শুরু করে ফসল কর্তন পর্যন্ত যখনই রোগের প্রকোপ দেখা দিবে তখনই ছত্রাক নাশক ছিটানোর ব্যবস্থা করতে হবে। প্রথমে রোগাক্রান্ত গাছ উপড়ে ফেলতে হবে। প্রতি ১০ লিটার পানিতে ২০ গ্রাম ডাইথেন এম-৪৫ অথবা ম্যানার-৪৫ গুলে ৩-৪ দিন অন্তর ২-৩ বার করে জমিতে ছিটাতে হবে। গাছের বয়স অনুসারে একর প্রতি ৩৫০-৪৫০ লিটার ঔষধ মিশানো পানি ছিটানো যেতে পারে। জমিতে সর্বদা পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করতে হবে। (তথ্যসুত্রঃ পাট কেনাফ মেস্তার রোগ ও নিয়ন্ত্রন- বিজেআরআই)
|
ফসলের যে পর্যায়ে আক্রমণ করে : |
চারা , পূর্ণ বয়স্ক
|
ফসলের যে অংশে আক্রমণ করে : |
শিকড়
|
তথ্যের উৎস: | উদ্ভিদ রোগবিজ্ঞান ও শস্যের রোগ। লেখকঃ হাসান আশরাফউজ্জামান। । পাট কেনাফ মেস্তার রোগ ও নিয়ন্ত্রন। বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইন্সটিটিউট। |