ফসল পাট
রোগের নাম :
শিকড় গিট (Root Knot)
রোগের অন্য স্থানীয় নামঃ
নেই
রোগের কারণ :
কৃমি
প্রধান ক্ষতির লক্ষণ:
এ রোগে আক্রান্ত গাছের পাতা ফিকে হয়ে যায় ও গাছের বৃদ্ধি কমে যায়। আক্রান্ত গাছের শিকড়ে ছোট বড় অনেক গিট দেখা যায়। এসব গিঁটের সঞ্চালন নালীর মধ্যে অসংখ্য কৃমি থাকে । কৃমিগুলো শিকড়ের রস সঞ্চালন নালীর মধ্যে শুড়।
দমন ব্যবস্থা:
যে সব পাটের জমিতে এ রোগ দেখা দেয়, পরবর্তীতে রবি মৌসুমে ঐ সব জমিতে সরিষা, গম, যব, ভুট্টা, চিনা ইত্যাদির এবং খরিফে ধান, কাউন, শন, জোয়ার ইত্যাদি বপন করা হলে নিমাটোড কমতে থাকে। রাসায়নিক ঔষধ ফুরাডান-৫ জি, ৪০ কেজি প্রতি হেক্টরে প্রয়োগ করে নিড়ানী এবং চূড়ান্ত ভাবে গাছ পাতলা করে দিতে হবে। সম্ভব হলে জমি পতিত বা পর্যায়ক্রমে মেস্তার চাষ করা যেতে পারে। বপনের কিছু দিন আগে চাষ করে জমি রোদে ফেলে রাখতে হবে। পাট ক্ষেত আগাছা মুক্ত রাখতে হবে কারণ কৃমি বেশ কয়েক প্রকার আগাছার শিকড়ে অবস্থান করতে পারে। শক্ত ও ভিজা মাটিতে কৃমি বেশি দিন বাঁচতে পারে না। সে জন্য সম্ভব হলে আক্রান্ত পাট ক্ষেত কমপক্ষে ১০ দিন পানি আটকে রাখতে পারলে অনেক কৃমি মারা যায়। (তথ্যসুত্রঃ পাট কেনাফ মেস্তার রোগ ও নিয়ন্ত্রন- বিজেআরআই)
ফসলের যে পর্যায়ে আক্রমণ করে :
সব
ফসলের যে অংশে আক্রমণ করে :
শিকড়
তথ্যের উৎস:
উদ্ভিদ রোগবিজ্ঞান ও শস্যের রোগ। লেখকঃ হাসান আশরাফউজ্জামান। । পাট কেনাফ মেস্তার রোগ ও নিয়ন্ত্রন। বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইন্সটিটিউট।