ফসল পাট
রোগের নাম :
পাতার হলদে ছিটা ও পাতার মোজাইক রোগ (Chlorosis)
রোগের অন্য স্থানীয় নামঃ
নেই
রোগের কারণ :
ভাইরাস
প্রধান ক্ষতির লক্ষণ:
এ রোগে পাটের পাতায় অসমান হলদে ছিটা দাগ পড়ে। পাটের এ রোগটি পাটের জীবনচক্রে যে কোন সময় হতে পারে। পাট গাছ বড় হবার সাথে সাথে পাট গাছের পাতায় সবুজ রং হারিয়ে হলদে সবুজ ছিটা দাগ পড়ে, আক্রান্ত গাছের বৃদ্ধি কমে যায় এবং আঁশের পরিমাণ শতকরা ১৫-২০ ভাগ পর্যন্ত কমে যেতে পারে। সাদা মাছি আক্রান্ত গাছের রস খেয়ে সুস্থ গাছের পাটের রস খাওয়ার সময় এ রোগ ছড়ায়।
দমন ব্যবস্থা:
জমিতে আক্রান্ত চারা দেখা মাত্র তা তুলে ফেলতে হবে। কোন ক্রমেই হলদে সবুজ ছিটা পড়া আক্রান্ত গাছ জমিতে রাখা যাবে না। সুস্থ গাছের জন্য মাঝে মাঝে পাট ক্ষেতে ডায়াজিনন বা হেমিথ্রিন প্রতি ১০ লিটার পানিতে ১৫ মিলিঃ পরিমাণ ঔষধ মিশ্রণ তৈরি করে ৩০-৪০ দিন বয়সের গাছে ৭ দিন পর পর ২-৩ বার ছিটানো উচিত। পাট গাছের মাঝামাঝি বয়সের বাড়ন্তকালে যদি এ রোগে ব্যাপকভাবে দেখা দেয় তা হলে ঐ ক্ষেতের পাট গাছ কেটে আঁশ সংগ্রহ করতে হবে। আক্রান্ত গাছ থেকে বীজ সংগ্রহ করা একেবারেই নিষিদ্ধ। আক্রান্ত গাছের বীজ সংগ্রহ করে বপন করলে পরবর্তী বছর ব্যাপক ভাবে এ রোগ দেখা দেবে। সাদা মাছি দ্বারা দ্বিতীয় পর্যায়ের আক্রমণের বিস্তার রোধকল্পে ডায়াজিনন-৬০ইসি/ হেজিনন-৬০ ইসি/ বিটানন-৬০ ইসি/ নোকনন-৬০ইসি এর যে কোন একটি কীটনাশক ১০লিটার পানিতে ১৫মিলিঃ হারে মিশিয়ে ১৫দিন পর পর ২-৩ বার স্প্রে করতে হবে। "
ফসলের যে পর্যায়ে আক্রমণ করে :
বাড়ন্ত পর্যায়
ফসলের যে অংশে আক্রমণ করে :
পাতা
তথ্যের উৎস:
উদ্ভিদ রোগবিজ্ঞান ও শস্যের রোগ। লেখকঃ হাসান আশরাফউজ্জামান। । পাট কেনাফ মেস্তার রোগ ও নিয়ন্ত্রন। বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইন্সটিটিউট।