ফসল | পাট |
রোগের নাম : | এনথ্রাকনোজ (Anthracnose) |
রোগের অন্য স্থানীয় নামঃ | নেই |
রোগের কারণ : | ছত্রাক
|
প্রধান ক্ষতির লক্ষণ: | এ রোগে চারাগাছ আক্রান্ত হলে কাণ্ডে ও পাতায় বাদামি রঙের দাগ দেখা যায়। বয়স্ক গাছে কাণ্ডের উপর কালো ক্ষত চিহ্ন দেখা যায়। অনেক সময় একাধিক দাগ একত্রিত হয়ে বড় রকমের ক্ষতের সৃষ্টি করে এবং কালক্রমে তা বৃদ্ধি পেয়ে কাণ্ড কে ঘিরে ফেলে। অনেক জায়গায় আক্রান্ত ছাল ফেটে যায় এবং ভিতরের আঁশ ফাটলের মধ্য দিয়ে ছোবড়ার মত বেরিয়ে আসে এবং শুকিয়ে শক্ত হয়ে যায় । এ রোগে কান্ডে গিটের সৃষ্টি হওয়ায় ঐ স্থান সহজে পচে না । আঁশ কালো দাগ বিশিষ্ট ও গিটযুক্ত হয়। ফলে আঁশের মুল্য কমে যায় ।
|
দমন ব্যবস্থা: | রোগমুক্ত ও সুস্থ গাছ থেকে বীজ সংগ্রহ করলে রোগাক্রমণের সম্ভবনা থাকে না। বপনের পূর্বে পাট বীজ ছত্রাক নাশক দ্বারা শোধন করে নিতে হবে। বীজ শোধনের জন্য ভিটাভেক্স ২০০ (০.৪%) / প্রভেক্স-২০০(০.৪%) ৪ গ্রাম ছত্রাক নাশক প্রতি কেজি বীজের সাথে ভাল ভাবে মিশিয়ে ব্যবহার করতে হবে অথবা রসুন বাটা ১২৫ গ্রাম প্রতি কেজি বীজের সাথে ভাল ভাবে মিশিয়ে রোদে শুঁকাতে হবে। বপনের আগে বীজ শোধনের ফলে রোগের প্রকোপ অনেক কমে যায়। শোধন করা সম্ভব না হলে বপনের আগে বীজ রোদে ভালভাবে শুঁকাতে হবে। পাটের শিকড়,আবর্জনা ও পরিত্যক্ত অংশ একত্রিত করে পুড়িয়ে ফেললে রোগের উৎস কমে যায়। ফলে রোগ সংক্রমন হ্রাস পায়। পর্যায়ক্রমে ধান অথবা অন্য ফসল চাষ করলে রোগ সংক্রমণ হতে পারে না। অতিরিক্ত ইউরিয়া সার বর্জন ও পটাশ সার প্রয়োগ করলে রোগ সংক্রমণ কম হয়। যখনই রোগের প্রকোপ দেখা দিবে তখনই ছত্রাক নাশক ঔষধ ছিটানোর ব্যবস্থা করতে হবে। প্রথমে রোগাক্রান্ত গাছ তুলে পুড়িয়ে ফেলতে হবে। পরে আক্রমণ বেশি দেখা দিলে ডাইথেন এম-৪৫ অথবা ম্যানার এম-৪৫ অথবা এনডোফিল এম-৪৫ প্রতি ১০ লিটার পানিতে ২০ গ্রাম ঔষধ মিশিয়ে গাছের গোঁড়ার মাটিতে ২/৩ দিন পর পর স্প্রে মেশিনের সাহায্যে ২/৩ দিন ছিটিয়ে এ রোগের আক্রমণ কমানো সম্ভব। রোগ প্রতিরোধী জাতের বীজ ব্যবহার করে রোগ নিয়ন্ত্রণ করা যায়। (তথ্যসুত্রঃ পাট কেনাফ মেস্তার রোগ ও নিয়ন্ত্রন- বিজেআরআই)
|
ফসলের যে পর্যায়ে আক্রমণ করে : |
চারা , পূর্ণ বয়স্ক
|
ফসলের যে অংশে আক্রমণ করে : |
কাণ্ড
|
তথ্যের উৎস: | উদ্ভিদ রোগবিজ্ঞান ও শস্যের রোগ। লেখকঃ হাসান আশরাফউজ্জামান। । পাট কেনাফ মেস্তার রোগ ও নিয়ন্ত্রন। বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইন্সটিটিউট। |