| ফসল   | পেঁয়াজ | 
			       
			      রোগের নাম :  |  পেঁয়াজের পার্পল ব্লচ  |  
 
												 রোগের কারণ :   |  Alternaria porri এবং Stemphylium botryosum ছত্রাকের আক্রমনে এ রোগ হয়।   |   
				
																 প্রধান ক্ষতির লক্ষণ:    |    প্রথমে পাতা ও বীজবাহী কান্ডে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র পানি ভেজা বাদামী বা হলুদ রং এর দাগের সৃষ্টি হয়।  * দাগগুলি ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পেয়ে বড় দাগে পরিণত হয়।* দাগের মধ্যবর্তী অংশ প্রথমে লালচে বাদামী ও পরবর্তীতে কালো বর্ণ ধারণ করে এবং দাগের কিনারা বেগুনী বর্ণ ধারণ করে।  * আক্রান্ত পাতা উপরের দিক হতে ক্রমান্বয়ে মরে যেতে থাকে। ব্যাপকভাবে আক্রান্ত পাতা ৩-৪ সপ্তাহের মধ্যে হলদে হয়ে মরে যায়। *  বীজবাহী কান্ডের গোড়ায় আক্রান্ত স্থানের দাগ বৃদ্ধি পেয়ে হঠাৎ ভেঙ্গে পড়ে। *  এ রোগের আক্রমণের ফলে বীজ অপুষ্ট হয় এবং ফলন হ্রাস পায়।  *  রোগ মারাত্মক আকার ধারণ করলে সুস্থ বীজ উৎপাদন সম্ভবপর হয় না।    | 
				
				
								 দমন ব্যবস্থা:  |   জমি পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখুন । * রোগ সহনশীল প্রতিরোধী  বারি পেঁয়াজ ১/২/৩/৪/৫ জাত ব্যবহার করুন ।  * অতি ঘন করে পেঁয়াজ লাগাবেন না।   * সুস্থ, নীরোগ বীজ   চারা ব্যবহার করুন ।   * বীজ পিঁয়াজের ক্ষেত্রে নভেম্বরের ১-১৫ তারিখের মধ্যে কন্দ রোপণ করুন ।   * একই জমিতে বার বার পেঁয়াজ/রসুনের চাষ করবেন না।  *    সুষম হারে সার প্রয়োগ করুন ।    * বীজ   বোনার আগে  থিরাম+কার্বোক্সিন গ্রুপের ছত্রাকনাশক প্রোভেক্স-২০০ (লারসেন কোম্পানী) প্রতি কেজি বীজের জন্য ২.৫ গ্রাম হারে মিশিয়ে শোধন করুন ।     | 
				
								
				 ফসলের যে পর্যায়ে আক্রমণ করে  : |  
					বাড়ন্ত পর্যায় 
				 | 
				
												 ফসলের যে অংশে আক্রমণ করে    :  | 
					কাণ্ড , পাতা , বীজ 
				 | 
			      			      			       অন্যান্য: |  বালাইচেনা ও ব্যবস্থাপনায় প্রয়োজনে কল সেন্টার বা কৃষি বিশেষজং স হায়তা নিন। |   
			      
			     
			      			        তথ্যের উৎস:  |  www.ipmimages.org; www.krishibarta.org; www3.syngenta.com; www.krishieseba.com;  সংশ্লিষ্ট কোম্পানীর লিফলেট এবং কৃষকের জানালা।   |