পাট এর পোকার তথ্য

পোকামাকড় নাম ফসলের যে অংশে আক্রমণ করে পোকামাকড় চেনার উপায় প্রধান ক্ষতির লক্ষণ
ঘোড়া পোকা
আগা , পাতা , ডগা , কচি পাতা ডিম থেকে শূককীট বের হওয়ার পরপর এদের রং থেকে ঘিয়ে এবং ক্রমশ সবুজ হয় পুর্ণতাপ্রাপ্ত কীড়া প্রায় ১.৫ ইঞ্চি ও গায়ের রং সবুজ । পূর্ণবয়স্ক পোকা হালকা বাদামি রঙের মথ। সামনের পাখার ফোঁটা ও আঁকাবাঁকা কাল দাগ আছে। পুরুষ মথের শুঙ্গ পেকটিনেট ও স্ত্রী মথের শুঙ্গ সুত্রাকার ধরনের। বৈশাখের শুরু হতে শ্রাবণের শেষ পর্যন্ত জৈষ্ঠের মাঝামাঝি হতে আষাঢ়ের মাঝামাঝি পোকার সংখা মারাত্মক ভাবে বাড়ে। ডিম ফুটে কীড়া বের হওয়ার পর পরই এরা পাট গাছের কচি ডগা ও পাতা আক্রমন করে। প্রথম অবস্থায় পাতা ছিদ্র করে খায় এবং বড় হতে থাকলে পুরো পাতা খেয়ে ফেলে। কোন কোন সময় কচি ডগা খেয়ে ফেলে এবং বারংবার কচি ডগাকে আক্রমন করার ফলে গাছের আগা নষ্ট হয়ে যায় এবং শাখা- প্রশাখা বের হয়। এতে পাটের ফলন ও আঁশের গুনগত মান কমে যায় । ইহা মুখ্য পোকা হিসাবে চিহ্নিত ।
ছাতরা পোকা কচি পাতা ছাতরা পোকা মেস্তা ও কেনাফের একটি প্রধান ক্ষতিকারক পোকা। স্ত্রী পোকা দেখতে লম্বাটে গোল এবং হালকা গোলাপি রঙের, পোকাগুলো একসাথে থাকে ও এদের উপরিভাগ সাদা তুলার মতো গুড়ায় আবৃত থাকে। এরা ৫ মি মি লম্বা ও ৩ মি মি চওড়া হয়। এদের দেহের পিছনেও সাদা সুতার মতো লেজ আছে তবে তা পুরুষ পোকার চেয়ে অনেক ছোট। তবে এর পাখায় শিরা খুবই কম। এদের দেহের পিছন দিকে ১ মি মি লম্বা সাদা সুতার মতো লেজ আছে। পুরুষ পোকার শুঙ্গ স্ত্রী পোকার চেয়ে অনেক লম্বা। স্ত্রী পোকার কোন পাখনা নেই । ছাতরা পোকা কচি পাতার উপরের দিকে, শাখা - প্রশাখায় ডগায়, পাতার বোঁটায় , গোঁড়ায় অথবা কাণ্ডের কচি ডগায় অবস্থান নেয়। ছাতরা পোকা গাছের ডগায় দল বেঁধে বাস করে এবং কচি ডগা ও পাতার রস চুসে খায়। ফলে কচি ডগা ও পাতাগুলো কুঁকড়ে যায় এবং আক্রান্ত স্থান ফুলে উঠে। কোঁকড়ানো পাতাগুলো ঝড়ে যায় ও আক্রান্ত স্থান হতে শাখা প্রশাখা বের হয়। এতে লম্বায় বাড়ে না ও আক্রান্ত স্থান ভাল করে পচে না ফলে আঁশ নিম্ন মানের হয়। বীজ ফসলে আক্রমণ করলে বীজের মান খুব কম হয়।