ফসল
টমেটো
পোকা চেনার উপায়:
এ পোকার কীড়া ছোট আকারের, দেখতে হলদে থেকে হালকা সবুজ রঙের। মাথা বাদামী রঙের্। পূর্ণবয়ষ্ক কীড়া ৫-৬ মিলিমিটার লম্বা হয়। পূর্ণাঙ্গ পোকা বাদামী রঙের এবং আকারে খুবই ছোট।
ক্ষতির লক্ষণ:
এ পোকার ক্ষুদ্র কীড়া পাতা ছিদ্র করে পাতার দুই পর্দার মাঝের সবুজ অংশ আঁকাবাঁকা সুড়ঙ্গ করে খায়। ফলে পাতার আক্রান্ত অংশটুকু স্বচ্ছ পর্দার মত দেখায় এবং পাতা ফ্যাকাশে বর্ণের হয়ে যায়। বয়স্ক পাতায় আক্রমণ হলে বাদামী ছোপ ছোপ দাগ দেখা যায়। আক্রমণ বেশি হলে পাতা শুকিয়ে ঝরে পড়ে এবং ফলন খুব কম হয়।
প্রধান ক্ষতির লক্ষণ:
ফলে পাতার আক্রান্ত অংশটুকু স্বচ্ছ পর্দার মত দেখায় এবং পাতা ফ্যাকাশে বর্ণের হয়ে যায়।
দমন ব্যবস্থা:
আক্রান্ত পাতা সংগ্রহ করে ধ্বংস করতে হবে। আঠালো হলুদ ফাঁদ ব্যবহার করে এদের আকৃষ্ট করে মেরে ফেলতে হবে। আক্রমণ বেশি হলে কার্বারিল জাতীয় কীটনাশক (যেমন-সেভিন ৮৫ পাউডার) প্রতি শতকে ৭ গ্রাম হারে ব্যবহার করতে হবে।
ফসলের যে পর্যায়ে আক্রমণ করে :
বাড়ন্ত পর্যায় , চারা , পূর্ণ বয়স্ক
ফসলের যে অংশে আক্রমণ করে :
সব
পোকামাকড় জীবনকাল :
সব
পোকামাকড় জীবনকালের যে পর্যায়ে আক্রমন করে :
ফেজ -১ , কীড়া
অন্যান্য: নিমতেল ৫ মিলিলিটার (১মুখ) ও ৫ গ্রাম ট্রিক্স প্রতিলিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করলে পোকার আক্রমণ কম হয়। সতর্কতাঃ সকল বালাইনাশকই বিষ। তাই বালাইনাশক ব্যবহারের পূর্বে এবং সংরক্ষণের সময় প্রয়োজনীয় সতর্কতা অবলম্বন করুন। অতিরিক্ত মাত্রায় বালাইনাশক ব্যবহার স্বাস্থ্য ও পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর।

তথ্যের উৎস:
কৃষি প্রযুক্তি হাতবই (বারি), কৃষি তথ্য সার্ভিস, http://bakb-learningcentre.org/