ফসল | মুগ ডাল |
পোকার নাম : | সাদা মাছি পোকা |
পোকার অন্য স্থানীয় নামঃ | নেই |
পোকা চেনার উপায়: | সাদা মাছি পোকা খুব ছোট (প্রায় ১ মিলিমিটার লম্বা) ও দেহ খুব নরম। স্ত্রী মাছি পোকা একটু বড়। গায়ে মোমের মতো আবরণ থাকে বলে সাদা দেখায়। |
ক্ষতির লক্ষণ: | গাছের রস চুষে খায় বলে গাছ শুকিয়ে যায়। এই পেকা এক ধরণের মধু ছড়িয়ে দেয় যেখানে বিভিনন্ন ছত্রাক আক্রমণ করে। ফলে দূর থেকে আক্রান্ত গাছকে নিস্তেজ ও কালো দেখায়। গাছের বৃদ্ধি খুবই কম হয়। তাছাড়া এই পোকা মুগ ও মাসকলাইয়ে হলুদ মোজাইক ভাইরাস রোগ ছড়ায়। |
প্রধান ক্ষতির লক্ষণ: | এই পেকা এক ধরণের মধু ছড়িয়ে দেয় যেখানে বিভিনন্ন ছত্রাক আক্রমণ করে। |
দমন ব্যবস্থা: | আক্রমণ বেশি হলে ম্যালাথিয়ন জাতীয় কীটনাশক (যেমন-ফাইফানন অথবা সাইফানন) ১০ লিটার পানিতে ১০ মিলিলিটার (২মুখ) অথবা ইমিডাক্লোরপিড ২০ এসএল জাতীয় বালাইনাশক (এডমায়ার, টিডো, ইসিটাফ) কীটনাশক ২.৫ মিলিলিটার (আধামুখ) ১০ লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে। |
ফসলের যে পর্যায়ে আক্রমণ করে : | বাড়ন্ত পর্যায় , চারা
|
ফসলের যে অংশে আক্রমণ করে : |
আগা
|
পোকামাকড় জীবনকাল : |
পূর্ণ বয়স্ক , নিম্ফ
|
পোকামাকড় জীবনকালের যে পর্যায়ে আক্রমন করে : |
সব
|
অন্যান্য: | আধাভাঙ্গা নিমবীজের পানি (১ লিটার পানিতে ৫০ গ্রাম নিমবীজ ভেঙ্গে ১২ ঘন্টা ভিজিয়ে রেখে ছেঁকে নিতে হবে) আক্রান্ত গাছে ১০ দিন পর পর ৩ বার স্প্রে করলে পোকা নিয়ন্ত্রন করা যায়।
সতর্কতাঃ সকল বালাইনাশকই বিষ। তাই বালাইনাশক ব্যবহারের পূর্বে এবং সংরক্ষণের সময় প্রয়োজনীয় সতর্কতা অবলম্বন করুন। অতিরিক্ত মাত্রায় বালাইনাশক ব্যবহার স্বাস্থ্য ও পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর। |
তথ্যের উৎস: | কৃষি তথ্য সার্ভিস তথ্য অফিসার
|