চীনাবাদাম এর বীজ উৎপাদন এবং সংরক্ষণের তথ্য

বীজ উৎপাদন

যেহেতু বীজের সুপ্ততাকাল খুব কম তাই পরবর্তী মৌসুমে ফসল আবাদের জন্য খরিফ মৌসুমে উচু এবং ঢালু জমিতে চীনাবাদামের চাষ করতে হবে। বপনের পূর্বে সংরক্ষিত বীজের গজানোর ক্ষমতা পরীক্ষা করে নিতে হবে।

বীজ সংরক্ষণ

বাদাম বীজ সংগ্রহের জন্য পলিথিন আচ্ছাদিত বা সিনথেটিক ব্যাগ, মাটির কলসি বা মটকা,কেরোসিন টিন বা ড্রাম, বাঁশের তৈরি বা ডুলি বা ঝুড়ি ইত্যাদিতে ভরে বীজ সংরক্ষণ করতে হবে। তবে মাটির পাত্র ও বাঁশের ডুলিতে বীজ সংরক্ষণের পূর্বে কাদামাটি ও গোবর দিয়ে লেপে নিতে হবে, যাতে বাতাসের আদ্রতা পাত্রের ভিতর ঢুকতে না পারে। পরে বীজসহ পাত্রগুলো কাঠের বা বাঁশের তৈরি মাচায় রেখে সংরক্ষণ করতে হবে।বর্ষা মৌসুমে (আষাঢ়-ভাদ্র) প্রতি মাসে  একবার পরিষ্কার রোদে ৩-৪ ঘণ্টা শুকিয়ে ঠাণ্ডা করে পুনরায় বীজ সংরক্ষণ করতে হবে। ঠাণ্ডা ঘর (কোল্ড রুম) যেখানে তাপমাত্রা ১৮-২০ ডিগ্রি সেঃ এবং বাতাসের আদ্রতা ৪০-৪৫% সেখানে ৮-১০% বীজের আদ্রতায় ১-২ বৎসর পর্যন্ত বীজ সংরক্ষণ করা যায়।

বীজ বিপণন

পরিবহন সুবিধা, গুদামজাত করন ভালোভাবে সংরক্ষণ ,বিক্রয় প্রস্তুতি ইত্যাদি কার্যাদি সম্পন্ন করে বিপণন করতে হবে। বিপননের জন্য বিজ্জাপন, ব্যাক্তিগত যোগাযোগ, প্রচার কার্যাবলী করতে হবে। উৎপাদনকারী পাইকারি বিক্রেতা, খুচরা বিক্রেতা, অথবা পরিবেশকের মাধ্যমে সরাসরি কৃষকের নিকট বিক্রয়। কৃষকগন বীজ ক্রয়কালীন সময়ে বিক্রেতার নিকট হতে অবশ্যই রশিদ গ্রহণ করবেন।

তথ্যের উৎস বিনা উদ্ভাবিত উন্নত কৃষি প্রযুক্তি। বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট