বীজ উৎপাদন |
আগের বছরের উৎকৃষ্ট ফসল থেকে ০.৭৫ থেকে ১.০ গ্রাম ওজনের কন্দ/কোয়া বেছে বীজ হিসেবে ব্যবহার করুন। এর চেয়ে ছোট আকারের কোয়া রোপণ করলে ফলন হলেও অর্থনৈতিক দিক থেকে লাভজনক হবেন না। হেক্টরে ৫০০-৭০০ কেজি কোয়ার প্রয়োজন। বিনা চাষেঃ বন্যা প্লাবিত এলাকায় বন্যার পানি নেমে গেলে সুনিষ্কাশিজৈব পদার্থ সমৃদ্ধ দোআঁশ মাটিতে আগাছা পরিষ্কার করে কাঠের বা লোহার তৈরি আঁচড়া দিয়ে সরু নালা তৈরি করে রসুনের কোয়া রোপণ করুন। পরে ধানের খড় দিয়ে মালচিং করে প্রয়োজনে সেচ দিতে হবে। এভাবে বিনা চাষে রসুন উৎপাদন করা যায়। নালা পদ্ধতিতেঃ এ পদ্ধতিতে সারিতে রসুন রোপণের জন্য সাধারণত ৪ মিটার লম্বা ও ১.৫ মিটার প্রস্থের ব্লক তৈরি করে দূরত্বের সারিতে ৭-১০সেমি দূরে দূরে ২.৫ সেমি গভীর নালায় কোয়ার আগাউপরের দিকে রেখে রুয়ে মাটি দিয়ে ঢেকে দিন। ।*****জমিতে ৪ থেকে ৫ সেন্টিমিটার পুরু করে কচুরিপানা বা ধানের খড়ের স্তর দিয়ে মালচ করলে রসুনের ফলন ভালো হয়। *** রসুন খুব ভালোভাবে পরিপক্ক করে নিয়ে ক্ষেত থেকে তুলতে হবে। অপরিপক্ক রসুন তুললে সেটা থেকে বীজ করা যাবে না। |
বীজ সংরক্ষণ | রসুন সংগ্রহের পর ৫-৬-৭ দিন ছায়াযুক্ত স্থানে শুকাতে হয়। একে রসুনের কিউরিং বলে। পরে পরিমাণ মতো৮ (৪-৫ কেজ) রসুনের শুকানো গাছ বেনি তৈরি করে বাতাস চলাচল করে এমন ঘরে ঝুলিয়ে রাখতে হবে। এক ঝোপা থেকে অন্য ঝোপা কিছুটা দূরে/ফাঁকা করে রাখতে হবে যাতে করে বাতাস চলাচল করতে পারে। এছাড়া রসুন উত্তোলনের পর পাতা ও শিকড় কেটে ব্যাগে এবং বাঁশের র্যা্ক, মাচায় এবং চটের বস্তাতেও সংরক্ষণ করা যায়। বীজের জন্য এভাবে সংরক্ষণ করার আগে যেটা মোটা, সুস্থ, সবল, রোগব্যাধি বিহীন রসুন বাছাই করতে হবে।****শুকনো বীজ রসুন আলো বাতাস চলাচলযুক্ত ঘরের মাচায় বেনি করে ঝুলিয়ে রাখুন। এতে বীজ রসুন ভাল থাকে। *** এছাড়া বেশি পরিমাণে শুকনো রসুন হিমাগারে ০-২ ডিগ্রি সে. তাপমাত্রায় শতকরা ৬০-৭০% আর্দ্রতায় সংরক্ষণ করুন। |
বীজ বিপণন | স্থানীয় হাট বাজারে খুচ্রা এবং আড়তে পাইকারি বেচা কেনা হয়। |
তথ্যের উৎস | তথ্যসূত্রঃ কৃষি প্রযুক্তি হাত বই, বিএআরআই, ** রসুন চাষ-এ আই এস** কৃষিবিদ নিতাইচন্দ্র রায় (আলোকিত বাংলাদেশ পত্রিকার ১৫ নভেম্বর/২০১৪ খ্রিঃ) |