সয়াবিন এর মৃত্তিকা ও সার ব্যবস্থাপনার তথ্য

মৃত্তিকা ২০- ৪০ ডি সে সয়াবীনের উপযোগী। উঁচু মাঝারি নিচু বেলে দোঁয়াশ, দোঁয়াশ, এঁটেল দোঁয়াশ মটি।
মৃত্তিকা পরীক্ষা গবেষণাগারের ঠিকানা

---

মাটির পুষ্টি উপাদান ---
সার পরিচিতি ---
ভেজাল সার সনাক্তকরণ * টি এস পিঃ আসল সার ৪-৫ ঘণ্টা পরে পানিতে মিশে। এ সারে ছোট ছোট মাটির গুটি ভেজাল দেয়। ১) আসল সার ১চা চামচ পরিমাণে আধা গ্লাস পানিতে পানিতে গলে ডাবের পানির মতো পরিষ্কার দেখাবে। নকল সার পানিতে মিশালে কিছু পরেই পানিতে মিশে ঘোলা দেখা যাবে । ২) সার দুই বুড়ো আংগুলের নখের মাঝে নিয়ে চাপ দিলে শক্ত বিধায় সহজে ভাংবে না। নকল সার সহজে ভাংবে। * ডি এ পিঃ চা চামচে কিছু পরিমাণ সার নিয়ে তাপ দিন। ১) খোলা অবস্থায় বেশ কিছুক্ষণ কাগজে রেখে দিলে নমুনা ভিজে যাবে।নকল সার সহজে ভিজবে না। ২)আসল ইউরিয়া হলে ১ মিনিটের মাঝে অ্যামোনিয়ার ঝাঁঝালো ঘ্রাণ বেরুবে এবং সার গলে যাবে। নকল সারে ঝাঁঝালো ঘ্রাণ বেরুবে না। নকল সারে তা হবে না।আংশিক ভেজাল সারে কম ঝাঁঝালো ঘ্রাণ বেরুবে এবং সার আংশিক গলবে। ৩)হাতের তালুতে কিছু পরিমাণ সার নিয়ে চূণ যোগ করলে অ্যামোনিয়ার ঝাঁঝালো ঘ্রাণ বেরুলে তা আসল । নক ল সারে ঝাঁঝালো ঘ্রাণ বেরুবে না। জিংক সালফেট সম পরিমাণ পটাসিয়াম সালফেট নিয়ে হাতের তালুতে ঘষলে ঠাণ্ডা মনে হবে এবং দইয়ের মতো গলে যাবে। চা চামচে কিছু পরিমাণ সার নিয়ে তাপ দিন। ১) খোলা অবস্থায় বেশ কিছুক্ষণ কাগজে রেখে দিলে নমুনা ভিজে যাবে। নকল সার সহজে ভিজবে না। ২)আসল ইউরিয়া হলে ১ মিনিটের মাঝে অ্যামোনিয়ার ঝাঁঝালো ঘ্রাণ বেরুবে এবং সার গলে যাবে। নকল সারে ঝাঁঝালো ঘ্রাণ বেরুবে না। নকল সারে তা হবে না।আংশিক ভেজাল সারে কম ঝাঁঝালো ঘ্রাণ বেরুবে এবং সার আংশিক গলবে। ৩)হাতের তালুতে কিছু পরিমাণ সার নিয়ে চূণ যোগ ক্অ্যামোনিয়ার ঝাঁঝালো ঘ্রাণ বেরুলে তা আসল । নক ল সারে ঝাঁঝালো ঘ্রাণ বেরুবে না। * এম ও পিঃ আসল সারের দানা লালচে সাদা ।এ সারে কাঁচের গুড়া,বালি,খাবার লবণ, ইটের গুড়া, মিহি সাদা পাথর ও লাল রঙ ভেজাল দেয়। ১)কাচের আধাগ্লাস পানি নিয়ে তাতে আসল আধা চা চামচ পরিমাণে সারের দানা মিশালে পুরাপুরি গলে যাবে, হাতে বা টিস্যু পেপারে রঙ লেগে যাবে না । ভেজাল সারে কাঁচের গুড়া, বালি, সাদা পাথর, ইটের গুড়ার ভেজাল নিচে জমা হবে মেশানো রঙ অনু্যায়ী রঙ ভেসে ওঠবে। হাতে বা টিস্যু পেপারে রঙ লেগে যাবে। * জিংক সালফেটঃ এ সারের সাথে পটাসিয়াম সালফেট ভেজাল দেয়।কিছু পরিমাণ জিংক সালফেট সম পরিমাণ পটাসিয়াম সালফেট নিয়ে হাতের তালুতে ঘষলে ঠাণ্ডা লাগবে এবং দইয়ের মতো গলে যাবে।
ফসলের সার সুপারিশ

পি:১০-১৭৫ কেজি। * এমওপি :  ১০০-১২০কেজি।  * জিপসাম:৮০-১১৫কেজি। * জিংক সালফেট :৮-১০কেজি। বোরন সার :৮-১০ কেজি।  রাসায়নিক সার জমি  তৈরির  শেষ সময়ে মাটিরসাথে  মিশিয়ে দিন।বেলে দোঁয়াশ,   দোঁয়াশ মাটিতে    অর্ধেক পরিমাণ ইউরিয়া ও  এমওপি সেচ দেবার আগে  প্রয়োগ করা ভাল।  ***অণুজীব সার প্রয়োগ করলে এক কেজি বীজের মধ্যে ৬৫-৭৫ গ্রাম অণুজীব সার ছিটিয়ে দিয়ে ভালভাবে নাড়াচাড়া করতে হবে। এই বীজ সাথে সাথে বপন করতে হবে। অণুজীব সার ব্যবহার করলে সাধারণত ইউরিয়া সার প্রয়োগ করতে হয় না।

তথ্যের উৎস কৃষি প্রযুক্তি হাত বই (৬ষ্ঠ সংস্করণ), বারি। * সেচের মাধ্যমে ফসল উৎপাদন ম্যানুয়াল - ডিএই।* ডিএই অয়েব সাইট; * এস আর ডি আই ।