পাট এর পোকার তথ্য

পোকামাকড় নাম ফসলের যে অংশে আক্রমণ করে পোকামাকড় চেনার উপায় প্রধান ক্ষতির লক্ষণ
লাল মাকড় ( Red Mite) সব লাল মাকড় সাধারণত বয়স্ক এবং নাবী পাট বীজ ফসলে আক্রমণ করে থাকে। পূর্নাজ্ঞ স্ত্রী মাকড় খুবই ক্ষুদ্র লাল রঙের তবে খালি চোখে এদেরকে গাছের পাতার উল্টোদিকে দেখতে পাওয়া যায়। এরা ডিম্বাকৃতি ও লম্বায় ০.৪৮ মি মি। পুরুষ মাকড় পীতাভ লাল, লম্বায় ০.৩২ মি মি। পাতার উল্টোদিকে লাল মাকড় সূক্ষ্ম জাল তৈরি করে। জুলাই হতে আগস্ট মাস পর্যন্ত আক্রমনের সময় ।প্রথমে এরা পরিপক্ক পাতার উল্টোদিকে বসে রস চুসে খায়, ফলে পাতা হলদে রং ধারণ করে। এরা গাছের নিচের দিকের পাতা খেতে খেতে উপরের দিকে উঠে এবং আক্রমণ ব্যাপক হলে এরা গাছের কচি পাতার রসও খেয়ে ফেলে। ফলে গাছের সব পাতা হলুদ বর্ণের হয়ে যায় এবং পাতা ঝরে পড়ে। লাল মাকড় পাটের জন্য গৌণ ক্ষতিকারক হিসেবে পরিচিত।
ছাতরা পোকা কচি পাতা ছাতরা পোকা মেস্তা ও কেনাফের একটি প্রধান ক্ষতিকারক পোকা। স্ত্রী পোকা দেখতে লম্বাটে গোল এবং হালকা গোলাপি রঙের, পোকাগুলো একসাথে থাকে ও এদের উপরিভাগ সাদা তুলার মতো গুড়ায় আবৃত থাকে। এরা ৫ মি মি লম্বা ও ৩ মি মি চওড়া হয়। এদের দেহের পিছনেও সাদা সুতার মতো লেজ আছে তবে তা পুরুষ পোকার চেয়ে অনেক ছোট। তবে এর পাখায় শিরা খুবই কম। এদের দেহের পিছন দিকে ১ মি মি লম্বা সাদা সুতার মতো লেজ আছে। পুরুষ পোকার শুঙ্গ স্ত্রী পোকার চেয়ে অনেক লম্বা। স্ত্রী পোকার কোন পাখনা নেই । ছাতরা পোকা কচি পাতার উপরের দিকে, শাখা - প্রশাখায় ডগায়, পাতার বোঁটায় , গোঁড়ায় অথবা কাণ্ডের কচি ডগায় অবস্থান নেয়। ছাতরা পোকা গাছের ডগায় দল বেঁধে বাস করে এবং কচি ডগা ও পাতার রস চুসে খায়। ফলে কচি ডগা ও পাতাগুলো কুঁকড়ে যায় এবং আক্রান্ত স্থান ফুলে উঠে। কোঁকড়ানো পাতাগুলো ঝড়ে যায় ও আক্রান্ত স্থান হতে শাখা প্রশাখা বের হয়। এতে লম্বায় বাড়ে না ও আক্রান্ত স্থান ভাল করে পচে না ফলে আঁশ নিম্ন মানের হয়। বীজ ফসলে আক্রমণ করলে বীজের মান খুব কম হয়।