পোকার তথ্য

ফসল পোকামাকড় নাম ফসলের যে অংশে আক্রমণ করে পোকামাকড় চেনার উপায় প্রধান ক্ষতির লক্ষণ
মুগ ফল ছিদ্রকারী পোকা পাতা , ডগা , কচি পাতা এ পোকার মথ বড় (প্রায় ১ ইঞ্চি)। বাদামী রঙের মথগুলো রাতে সক্রিয় হয়। পূর্ণবয়স্ক কীড়া ১.৫ থেকে ২ ইঞ্চি। ফল আসার আগে গাছের পাতা ও কচি ডগা খায়। ফল আসার পরে কীড়া বড় হয়ে ফলের ভেতর ঢুকে বীজ খেয়ে ফেলে।
কলা কলার পাতা ও ফলের বিটল পাতা , কচি পাতা , ফল , ফুল পূর্ণবয়স্ক পোকা ৪.০-৪.৫ মিমি লম্বা, ২.০ মিমি চওড়া। মাথা রং বাদামি, উপরের আবরণ কোন প্রজাতির বাদামী, কোনটা নীলচে সবুজ। বয়স্ক পোকা কুরে কুরে খাওয়ায় পাতার ও ফলের উপর সরু লম্বা দাগ পড়ে। কলার মোচা বের হলে পাতা ছেড়ে কচি কলা আক্রমণ করে।এর আক্রমণে ফলের খাদ্যমান ও উৎপাদন তেমন ব্যহত হয়না ।কীড়া শিকড় খায়।
বেগুন জাব পোকা কাণ্ড , পাতা , কচি পাতা , ফুল পূর্নাঙ্গ পোকা এবং বাচ্চা উভয় ই দেখতে ছোট আকৃতির, নরম, বাদামি অথবা বাদামি কাল রঙের । দলবদ্ধ ভাবে থাকে। দেহের পিছনে উভয় দিকে একজোড়া কালো নল আছে। পূর্নাঙ্গ পোকা এবং বাচ্চা গাছের পাতা, কচি কাণ্ড, ফুল ও ফলের কুঁড়ি, বোটা এবং ফলের কচি অংশের রস চুষে খায়, ফলে গাছ দুর্বল ও হলুদ হয়ে যায়, পাতা কুচকে যায় । ফুল ও ফল অবস্থায় আক্রমন হলে ফুলের কুঁড়ি ঝারে পড়ে । আক্রমনের মাত্রা বেশি হলে কচি ডগা মারা যায়।
বেগুন পাতা মোড়ানো পোকা পাতা , কচি পাতা বাদামি রংয়ের একধরনের মথ । ডিম থেকে কীড়া বের হয়ে লালা দিয়ে কচি পাতা লম্বা লম্বি ভাবে মুড়িয়ে ফেলে । পাতা খুললে ভিতরে কীড়া পাওয়া যায়। মুড়ানো পাতা শুকিয়ে ঝরে পড়ে ।
বেগুন জ্যেসিড/ শোষক পোকা/ হোপার/ শ্যামা পোকা পাতা , ডগা , কচি পাতা হালকা সবুজ রংয়ের ফড়িং জাতীয় পোকা, পাখার পিছনে কাল দাগ আছে। বাচ্চা ও সবুজ ধরনের। কচি পাতার রস চুষে খাওয়ায় পাতা কুকড়ে নিচের দিকে বেকে আসে, পাতা বিবর্ন হয়ে তামাটে রং ধারণ করে ,পরে মারা যায়।
আলু জ্যাসিড/হোপার / শোষক পোকা পাতা , কচি পাতা পূর্ণ বয়সী পোকা ৩-৫ মি.মি লম্বা, গয়ের রং সবুজ। কচি পাতার রস চুৃষে খায়। আক্রামণ বেশি হলে পাতা বর্বিণ হয়ে শুকিয়ে মারা যায়।
লাউ রেড পামকিন বিটল পাতা , কচি পাতা , ফল , ফুল এ পোকা দেখতে ক্ষুদ্র লাল রঙের পাকা ঝাঝড়া করে ফেলে। আক্রমণ বেশি হলে চারা গাছেভ আগা, ফুল ও কচি ফল আক্রান্ত হয়।