ক্যাটাগরি

পোকামাকড়



ফসলের জাত পরিচিত

ফসলের রোগ

সেচ ব্যবস্থাপনা

আবহাওয়া ও দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা

চাষপদ্ধতি

বীজ উৎপাদন ও সংরক্ষণ

মৃত্তিকা ও সার ব্যবস্থাপনা

ফসল সংগ্রহ ও সংরক্ষণ

আগাছা ব্যবস্থাপনা

বীজ ও বীজতলা

খামার যন্ত্রপাতি

কৃষি উপকরণ

ফসলের পুষ্টি মান

বাজারজাতকরণ

পোকার তথ্য

ফসল পোকামাকড় নাম ফসলের যে অংশে আক্রমণ করে পোকামাকড় চেনার উপায় প্রধান ক্ষতির লক্ষণ
মুগ ফল ছিদ্রকারী পোকা পাতা , ডগা , কচি পাতা এ পোকার মথ বড় (প্রায় ১ ইঞ্চি)। বাদামী রঙের মথগুলো রাতে সক্রিয় হয়। পূর্ণবয়স্ক কীড়া ১.৫ থেকে ২ ইঞ্চি। ফল আসার আগে গাছের পাতা ও কচি ডগা খায়। ফল আসার পরে কীড়া বড় হয়ে ফলের ভেতর ঢুকে বীজ খেয়ে ফেলে।
কলা কলার পাতা ও ফলের বিটল পাতা , কচি পাতা , ফল , ফুল পূর্ণবয়স্ক পোকা ৪.০-৪.৫ মিমি লম্বা, ২.০ মিমি চওড়া। মাথা রং বাদামি, উপরের আবরণ কোন প্রজাতির বাদামী, কোনটা নীলচে সবুজ। বয়স্ক পোকা কুরে কুরে খাওয়ায় পাতার ও ফলের উপর সরু লম্বা দাগ পড়ে। কলার মোচা বের হলে পাতা ছেড়ে কচি কলা আক্রমণ করে।এর আক্রমণে ফলের খাদ্যমান ও উৎপাদন তেমন ব্যহত হয়না ।কীড়া শিকড় খায়।
পটল পটলের কাঁটালে/ কাঁঠালে পোকা কাণ্ড , পাতা , ডগা , ফল , শিকড় , ফুল - পূর্ণ বয়স্ক বিটল ও গ্রাব উভয়েই পাতা খায় । আক্রন্ত পাতা ঝাঁঝরা করে, পরে পাতা শুকিয়ে যায় এবং ঝরে পাড়ে
বেগুন জাব পোকা কাণ্ড , পাতা , কচি পাতা , ফুল পূর্নাঙ্গ পোকা এবং বাচ্চা উভয় ই দেখতে ছোট আকৃতির, নরম, বাদামি অথবা বাদামি কাল রঙের । দলবদ্ধ ভাবে থাকে। দেহের পিছনে উভয় দিকে একজোড়া কালো নল আছে। পূর্নাঙ্গ পোকা এবং বাচ্চা গাছের পাতা, কচি কাণ্ড, ফুল ও ফলের কুঁড়ি, বোটা এবং ফলের কচি অংশের রস চুষে খায়, ফলে গাছ দুর্বল ও হলুদ হয়ে যায়, পাতা কুচকে যায় । ফুল ও ফল অবস্থায় আক্রমন হলে ফুলের কুঁড়ি ঝারে পড়ে । আক্রমনের মাত্রা বেশি হলে কচি ডগা মারা যায়।
বেগুন পাতা মোড়ানো পোকা পাতা , কচি পাতা বাদামি রংয়ের একধরনের মথ । ডিম থেকে কীড়া বের হয়ে লালা দিয়ে কচি পাতা লম্বা লম্বি ভাবে মুড়িয়ে ফেলে । পাতা খুললে ভিতরে কীড়া পাওয়া যায়। মুড়ানো পাতা শুকিয়ে ঝরে পড়ে ।
বেগুন জ্যেসিড/ শোষক পোকা/ হোপার/ শ্যামা পোকা পাতা , ডগা , কচি পাতা হালকা সবুজ রংয়ের ফড়িং জাতীয় পোকা, পাখার পিছনে কাল দাগ আছে। বাচ্চা ও সবুজ ধরনের। কচি পাতার রস চুষে খাওয়ায় পাতা কুকড়ে নিচের দিকে বেকে আসে, পাতা বিবর্ন হয়ে তামাটে রং ধারণ করে ,পরে মারা যায়।
বেগুন কাঁটালে/কাঁঠালে পোকা/ইপিলেকনা বিটল কাণ্ড , পাতা , শিকড় বয়স্ক পোকা ডিম্বাকৃতির , হালকা থেকে গাঢ় লাল, ৬-৭ মিলি লম্বা পোকা, উপরের পাখনায় কয়েক জোড়া দাগ থাকে। কীড়ার গায়ের রং হলুদ, চ্যাপ্টা, গায়ে কাঁটা থাকে । দেখতে আনেকটা কাঁঠালের মতো দলবদ্ধভাবে আক্রমন করে। আক্রান্ত পাতার সবুজ আংশ খেয়ে জালিকার মত ঝাঁঝরা করে ফেলে।
বেগুন কাটুই পোকা শিকড় , কান্ডের গোঁড়ায় ছোট আকারের মথ , হালকা বাদামি রং এর দুই জোড়া পাখা যুক্ত, নিশাচর। ভিতরের পাখাতে ধুসর শিরা/ জালিকা দেখা যায়। কীড়ার রং বেগুনী থেকে বাদামি বেগুনী। রাতে চারার গোড়া কেটে ফেলে
বেগুন ডগা ও ফল ছিদ্রকারী পোকা ডগা , ফল ছোট আকারের মথ , ৮-১২ মি মি লম্বা সাদা রং এর দুই জোড়া পাখাতে ছিট ছিট বাদামি দাগ থাকে, স্ত্রী মথ একটু বড় ডগা ও ফল ছিদ্র করে কুড়ে খায়। আক্রান্ত ডগা ঢলে পড়ে শুকিয়ে যায় । ফলে আক্রমন হলে তা খাওয়ার অনুপযোগী হয়ে যায়
মসুর ফল ছিদ্রকারী পোকা কাণ্ড , পাতা , ফল , ফুল কচি পতা, ফুল ও ডগা কীড়ায় আক্রমণ করে। ফল বাড়ার সময়ে কীড়া ফল ছিদ্র কওে নরম অংশ খায়। -
ভুট্টা আদার কান্ড ছিদ্রকারি পোকা কাণ্ড এক ধরণের মথ ডিম থেকে বের হওয়ার পর সদ্যজাত কীড়া আদার গাছ ছিদ্র করে ভেতরে ঢুকে এবং গাছের মাঝের অঙ্গ খায়। আক্রান্ত গাছ হলুদ হয়ে যায়। পরবর্তীকালে মাইজ পাতা শুকিয়ে যায়।
সয়াবিন সয়াবিনের পাতা মোড়ানো পোকা ফল - এ পোকা সয়াবিনের ফল ছিদ্র করে ক্ষতি করে ।
সয়াবিন সয়াবিনের ফলছিদ্রকারী পোকা ফল - এ পোকা সয়াবিনের ফল ছিদ্র করে ক্ষতি করে ।
মিষ্টি আলু মিষ্টি আলুর উইভিল পোকা পাতা , ডগা , ফল , কান্ডের গোঁড়ায় পূর্ণ বয়স্ক পোকা প্রায় ৬ মিমি লম্বা ; ১∙৪ মিমি চওড়া । মাথায় শুঁড়ের মতো একটি মুখাংশ আসে । মাথা ও শাখার উপরি ভাগ গাঢ় নীল চোখ এবং পা উজ্জল লাল- কমলা বর্ণের পাতা খেয়ে ছিদ্র করে এবং লতার ভিতরে ঢুকে কচি অংশ খেয়ে গাছ মেরে ফেলে। জীড়া কন্দমূলের / মিষ্টি ভিতরে আঁকাবাঁকা সুড়ং করে খাবার অযোগ্য করে ।
আলু জ্যাসিড/হোপার / শোষক পোকা পাতা , কচি পাতা পূর্ণ বয়সী পোকা ৩-৫ মি.মি লম্বা, গয়ের রং সবুজ। কচি পাতার রস চুৃষে খায়। আক্রামণ বেশি হলে পাতা বর্বিণ হয়ে শুকিয়ে মারা যায়।