ফসল | পোকামাকড় নাম | ফসলের যে অংশে আক্রমণ করে | পোকামাকড় চেনার উপায় | প্রধান ক্ষতির লক্ষণ |
---|
পেঁয়াজ | পেঁয়াজের কাঁটুই পোকা | কাণ্ড , কান্ডের গোঁড়ায় | বয়সী পোকা এক ধরনের মথ । ডিম ফুটে কালো মাথাওয়ালা মেটে রঙের ৫-৬ সেমি কীড়া ফসলের করে | এ পোকা রাতের বেলা চারা মাটি বরাবর কেটে দেয়। সকাল বেলা চারা মাটিতে পড়ে থাকতে দেখা যায় । |
পেঁয়াজ | পেঁয়াজের থ্রিপস পোকা | পাতা , কচি পাতা , ফুল | এক ধরনের ২-৩ মিমি আকারের কালো রঙের পোকা। | পোকা গাছের কচি পাতা ও পুষ্পমঞ্জুরির রস শুষে খেয়ে গাছকে দুর্বল করে ফেলে। এদের আক্রমণের কারণে পাতায় বাদামি দাগ হয়। |
সয়াবিন | সয়াবিনের স্টিং বাগ পোক | পাতা , ফল | - | এ পোকা কচি পাতা ও ফলের রস সুসে খেয়ে ক্ষতি সাধন করে । |
সয়াবিন | সয়াবিনের বিছা পোকা | পাতা , কচি পাতা | - | পাতার উল্টো পিঠের সবুজ অংশ খেয়ে পাতাকে সাদা পাতলা পর্দার মত করে ফেলে।এরা সারা মাঠে ছড়িয়ে পড়ে এবং পুরো পাতা খেয়ে ফসলের ব্যপক ক্ষতি সাধন করে । |
চীনাবাদাম | জ্যাসিড / শোষক পোকা | কাণ্ড , পাতা , ডগা , কচি পাতা | ক্ষুদ্র সবুজ পোকা। এদের দেহ লম্বা। রং বাদামী সবুজ বর্ণের হয়ে থাকে। এরা পাতার নিচের পৃষ্ঠে থাকে। | কচি পাতা ও নরম কাণ্ড হতে রস চুসে খায় ও এক প্রকার বিষাক্ত পদার্থ নিঃসৃত করে। এর ফলে পাতার অগ্রভাগ বাদামী বর্ণ ধারণ করে। আক্রান্ত পাতা কুকচে যায়। ফলে বৃদ্ধি ব্যাহত হয়, ফুল ও ফল ধারণ বাধাগ্রস্ত হয়। |
মিষ্টি আলু | মিষ্টি আলুর সুড়ঙ্গকারী পোকা | কাণ্ড , ডগা , কান্ডের গোঁড়ায় | - | ক্ষুদ্র কীড়া পাতার দুইপাশের সবুজ অংশ খেয়ে ফেলে। তাই পাতার উপর আঁকা বাঁকা রেখার মত দাগ পড়ে এবং পাতা শুকিয়ে ঝড়ে যায়। |
মিষ্টি আলু | লেদা পোকা | পাতা , ডগা , কচি পাতা | ছোট ও কালচে রঙের | কীড়া পাতা ও কচি ডগা খেয়ে ফেলে। |
মিষ্টি আলু | কাটুই পোকা | কান্ডের গোঁড়ায় | ৫০ মিমি লম্বা, শরীর নরম ও তেলতেলে। মাথা কালচে, দেহ বদামী বা মেটে রঙের পীঠ বরাবর ও তার পাশে সমান্তরাল ভাবে হালকা ধূসর বা কাল চওড়া দাগ আছে।
পুত্তলীঃ অপেক্ষাকৃত ছোট গাঢ় বাদামী রঙের তাবিজের মত। কাঁটার মত একটি অঙ্গ থাকে।
মথঃ অপেক্ষাকৃত মাঝারী আকারের ধূসর রঙের মধ্য কালচে ছোপ ছোপ ডোরা দাগ আছে। পাখার নিচের দিখে ঝালরের মতো চিকণ পশম আছে। | পূর্ণ বয়স্ক ও বাচ্চা গাছের গোড়া কেটে দেয়। |
আলু | জ্যাসিড/হোপার / শোষক পোকা | পাতা , কচি পাতা | পূর্ণ বয়সী পোকা ৩-৫ মি.মি লম্বা, গয়ের রং সবুজ। | কচি পাতার রস চুৃষে খায়। আক্রামণ বেশি হলে পাতা বর্বিণ হয়ে শুকিয়ে মারা যায়। |
আলু | সুতলী পোকা | আগা , কাণ্ড , ডগা , ফল | পোকার মথ আকারে ছোট,রুপালি, ধুসর, ছোট ছোট সরু পশমের মতো ঝালরযুক্ত, সরু ডানা বিশিষ্ট । পেছনের পাখাজোড়া ফ্যাকাসে সাদা|পূর্ণাঙ্গ কীড়া সাদাটে বা হাল্কা গোলাপী বর্ণের এবং ১৫-২০ মি.মি লম্বা হয়ে থাকে।কীড়ার পিঠে হালকা সবুজ বা গোলাপি আভা আছে । | * কীড়া ডিম থেকে ফুটেই ১২-১৫ দিন আলুর পাতার সবুজ অংশ খেতে খেতে সুরঙ্গ করে কান্ডে ঢুকে। কান্ডে ঢুকলে কান্ডের আগা মরে যায় এবং পরে তা ভেঙোগ পড়ে। * মথ আলুর চোখের কাছে ডিম পাড়লে কীড়া ডিম থেকে ফুটেই ১২-১৫ দিন ধরে আলুর খেতে খেতে আলুর ভিতরে ঢুকে আলুর খোসার নিচে সুরঙ্গ তৈরি করে। এতে আলুর বাকি পচে যায় তাতে কীড়ার মলে ভরা থাকে। * সংরক্ষতি আলুতে ও ক্ষতি কর। |
আলু | জাব পোকা | কাণ্ড , পাতা , ডগা | পূর্ণ বয়সী পোকা ছোট, প্রায় মাথার উকুনের সমান। সবুজ/কাদামি রঙের। | পোকা পাতা, কান্ড ও ডগা থেকে রস চুষে খায়। আলুর পাতা মোড়ানো ভাইরাস এবং অন্যান্য ভাইরাস ছড়ায় । আক্রান্ত পাতা কুঁকড়ে যায় এবং হলুদ বা নানা রঙ ও অস্বাভাবিক আকার ধারণ করে। |
আলু | কাটুই পোকা | কাণ্ড , ডগা , সব , শিকড় | *পূর্ণ বয়সী পোকা মাঝারি আকারের ধূসর রঙের, তার মধ্যে কালছে ছোপ ছেপা ও ডোরা দাগ আছে পাখায় হাল্কা ঝালরের মত চিকন পশম থাকে। পুরষ মথ স্ত্রীর চেয়ে সরু। *কীড়া ৪০-৫০ মি.মি, বাদামি/ মেটে রঙ, মাথা কালচে বাদামি। দেহের পিছ বরাবর ও পাশে লম্বারম্বিভাবে হালকা ধূসর/ কাল রঙের বেখা আছে। শরীর তলৈাক্ত ও নরম | |পূণদিনের বেলায় মাটির নিচে লুকিয়ে থাকে, রাতে চারার গোড়া কেটে দেয়। আলু ছদ্রি করে। |
লাউ | রেড পামকিন বিটল | পাতা , কচি পাতা , ফল , ফুল | এ পোকা দেখতে ক্ষুদ্র লাল রঙের | পাকা ঝাঝড়া করে ফেলে। আক্রমণ বেশি হলে চারা গাছেভ আগা, ফুল ও কচি ফল আক্রান্ত হয়। |
তরমুজ | জাব পোকা
| কাণ্ড , পাতা , ডগা , কচি পাতা , ফল , ফুল | পোকা দেখতে খুবই ক্ষুদ্র। এদের পাখা বা পাখাহীন উভয় অবস্থায় দেখা যায়। | গাছের কচি কাণ্ড, ডগা ও পাতার রস খেয়ে ক্ষতি করে। |
মরিচ | ক্ষুদে মাকড় (মাইট)
| আগা , কাণ্ড , পাতা , কান্ডের গোঁড়ায় | এ পোকা দেখতে অত্যন্ত ছোট, সাধারণত হাত লেন্সের সাহায্য ছাড়া দেখা যায় না। পোকা উপবৃত্তাকার, উজ্জ্বল, হলদে সবুজ বর্ণের আট পা বিশিষ্ট।
| মাইট গাছের রস শোষণ করে এবং পানি স্বাভাবিক প্রবাহ বিঘ্নিত হয়। পাতা ফ্যাঁকাসে, মোচড়ানো এবং নিচের দিকে নৌকার মত বাঁকানো হয়। পাতা চামড়ার মত হয়ে যায় এবং শিরাগুলো মোটা হয়। পাতা এবং কচি কাণ্ড লালচে বর্ণের হয়। ফুলের কুঁড়ি বাঁকানো এবং মোচড়ানো হয়। পাতার নিচের পৃষ্ঠে জাল দেখা যায়।
|