ক্যাটাগরি

পোকামাকড়



ফসলের জাত পরিচিত

ফসলের রোগ

সেচ ব্যবস্থাপনা

আবহাওয়া ও দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা

চাষপদ্ধতি

বীজ উৎপাদন ও সংরক্ষণ

মৃত্তিকা ও সার ব্যবস্থাপনা

ফসল সংগ্রহ ও সংরক্ষণ

আগাছা ব্যবস্থাপনা

বীজ ও বীজতলা

খামার যন্ত্রপাতি

কৃষি উপকরণ

ফসলের পুষ্টি মান

বাজারজাতকরণ

পোকার তথ্য

ফসল পোকামাকড় নাম ফসলের যে অংশে আক্রমণ করে পোকামাকড় চেনার উপায় প্রধান ক্ষতির লক্ষণ
মুগ সাদা মাছি আগা , কাণ্ড , কচি পাতা সাদা মাছি পোকা খুব ছোট (প্রায় ১ মিলিমিটার লম্বা) ও দেহ খুব নরম। স্ত্রী মাছি পোকা একটু বড়। গায়ে মোমের মতো আবরণ থাকে বলে সাদা দেখায়। গাছের রস চুষে খাওয়ার ফলে গাছ শুকিয়ে যায় । এই পোকা এক ধরণের রস ছড়িয়ে দেয়, যেখানে বিভিন্ন ছত্রাক আক্রমণ করে । ফলে দূর থেকে আক্রান্ত গাছকে নিস্তেজ ও কালো দেখায়। গাছের বৃদ্ধি খুবই কম হয়। তাছাড়া এই পোকা মুগ ও মাসকলাইয়ে হলুদ মোজাইক ভাইরাস রোগ ছড়ায়।
পটল পটলের সাদা মাছি পোকা আগা , পাতা , ডগা , সব , ফল , শিকড় , কান্ডের গোঁড়ায় - পূর্ণ বয়স্ক ও বাচ্চা উভয়ই ক্ষতি করে । চারা গাছ থেকে শুরু করে শেষ পর্যন্ত এরা পাতার রস খায় । আক্রান্ত পাতা বিবর্ণ হয় ।পাতা কুকড়ে যায়।
মসুর জাব পোকা আগা , পাতা , ফল , ফুল - পাতা, ফুল ও কচি ফলের রস চুষে খায়
ভুট্টা আদার কন্দ ছিদ্রকারি পোকা ডগা এক ধরণের মথ পোকার ডিম থেকে বের হওয়ার পর সদ্যজাত কীড়া কন্দ ছিদ্র করে ভেতরে ঢুকে এবং কন্দের ভিতেরর অংশ খায়। আক্রান্ত গাছ হলুদ হয়ে যায়। পরে কন্দের পচন ধরে। আক্রমণের মাত্রা বেশি হলে গাছ থেকে কোনো ফলন পাওয়া যায় না। এ পোকা আদার রোগের সঙ্গে সম্পর্কিত। এ পোকা ডিম পাড়া এবং বাড়নের জন্য ছত্রাক আক্রান্ত আদা গাছ পছন্দ করে। রোগাক্রান্ত কন্দের ভিতর পোকার কীড়া এবং পিউপা দেখা যায়। এ ছাড়াও পূর্ণ বয়স্ক পোকাগুলো আদা গাছে ব্যাকটেরিয়া জনিত উইল্ট/ পচনের বাহক হিসেবে কাজ করে।
সয়াবিন সয়াবিনের স্টিং বাগ পোক পাতা , ফল - এ পোকা কচি পাতা ও ফলের রস সুসে খেয়ে ক্ষতি সাধন করে । 
সয়াবিন সয়াবিনের বিছা পোকা পাতা , কচি পাতা - পাতার উল্টো পিঠের সবুজ অংশ খেয়ে পাতাকে সাদা পাতলা পর্দার মত করে ফেলে।এরা সারা মাঠে ছড়িয়ে পড়ে এবং পুরো পাতা খেয়ে ফসলের ব্যপক ক্ষতি সাধন করে ।
চীনাবাদাম জ্যাসিড / শোষক পোকা কাণ্ড , পাতা , ডগা , কচি পাতা ক্ষুদ্র সবুজ পোকা। এদের দেহ লম্বা। রং বাদামী সবুজ বর্ণের হয়ে থাকে। এরা পাতার নিচের পৃষ্ঠে থাকে। কচি পাতা ও নরম কাণ্ড হতে রস চুসে খায় ও এক প্রকার বিষাক্ত পদার্থ নিঃসৃত করে। এর ফলে পাতার অগ্রভাগ বাদামী বর্ণ ধারণ করে। আক্রান্ত পাতা কুকচে যায়। ফলে বৃদ্ধি ব্যাহত হয়, ফুল ও ফল ধারণ বাধাগ্রস্ত হয়।
মিষ্টি আলু মিষ্টি আলুর ফ্লি বিটল পোকা পাতা , ডগা , সম্পূর্ণ গাছ - পূর্ণ বয়স্ক ও বাচ্চা উভয়ই ক্ষতি করে । পূর্ণ বয়স্করা চারা গাছের বেশি ক্ষতি করে । এরা পাতা ছোট ছোট ছিদ্র করে খায় । আক্রান্ত পাতায় অসংখ্য ছিদ্র হয়।
আলু মাঠের বড় কালো ইদুর কাণ্ড , ফল ইদুরের চলাচলের পথ ও গর্ত পর্যবেক্ষন করুন। # ক্ষেতে মোটা ডাল পুতে প্যাঁচা বসার ব্যবস্থা করুন। গাছের কান্ড কেটে ফেলে। আলু খেয়ে নষ্ট করে
আলু কাটুই পোকা কাণ্ড , ডগা , সব , শিকড় *পূর্ণ বয়সী পোকা মাঝারি আকারের ধূসর রঙের, তার মধ্যে কালছে ছোপ ছেপা ও ডোরা দাগ আছে পাখায় হাল্কা ঝালরের মত চিকন পশম থাকে। পুরষ মথ স্ত্রীর চেয়ে সরু। *কীড়া ৪০-৫০ মি.মি, বাদামি/ মেটে রঙ, মাথা কালচে বাদামি। দেহের পিছ বরাবর ও পাশে লম্বারম্বিভাবে হালকা ধূসর/ কাল রঙের বেখা আছে। শরীর তলৈাক্ত ও নরম |পূণদিনের বেলায় মাটির নিচে লুকিয়ে থাকে, রাতে চারার গোড়া কেটে দেয়। আলু ছদ্রি করে।
লাউ রেড পামকিন বিটল পাতা , কচি পাতা , ফল , ফুল এ পোকা দেখতে ক্ষুদ্র লাল রঙের পাকা ঝাঝড়া করে ফেলে। আক্রমণ বেশি হলে চারা গাছেভ আগা, ফুল ও কচি ফল আক্রান্ত হয়।
লাউ ফলের মাছি পোকা ফল প্রাপ্ত বয়স্ক ও বড় আকারের কীড়ার গায়ের রঙ কিছুটা কালো ধরণের এবং গায়ের উপর লম্বালম্বি দাগ থাকে। পুত্তলি গাঢ় বাদামি রঙের ও পিছনের দিকে দুইটি ধারালো কাটা থাকে। মথ হালকা বাদামি রঙের। স্ত্রী মাছিগর্ভাশয় বা ফলের সাধারণত নিচের দিকে চামড়া/খোসা ছিদ্র করে ভিতরে ডিম পাড়ায় এ জাগায় (ক) পানির মতো কষ বেড় হয়, পরে শুকিয়ে বা বাদামি আঠা হয়ে জমে থাকে।(খ) এখান থেকে জীবাণু দিয়ে পচন শুরু হলে ধুসর / কালো দাগ ছড়িয়ে পড়ে। ( গ) কীড়ার কালো মল দেখা যেতে পারে । (ঘ) ধীরে ধীরে ফল পচতে থাকে। (ঙ) কচি ফল লাল হয়ে ঝরে পড়ে। বাড়ন্ত ফল বিকৃতি আকার ধারণ করে।
চীনাবাদাম জ্যাসিড / শোষক পোকা পাতা ক্ষুদ্র সবুজ পোকা। এদের দেহ লম্বা। রং বাদামী সবুজ বর্ণের হয়ে থাকে। এরা পাতার নিচের পৃষ্ঠে থাকে। এর ফলে পাতার অগ্রভাগ বাদামী বর্ণ ধারণ করে। আক্রান্ত পাতা কুকচে যায়।
পাট লাল মাকড় ( Red Mite) সব লাল মাকড় সাধারণত বয়স্ক এবং নাবী পাট বীজ ফসলে আক্রমণ করে থাকে। পূর্নাজ্ঞ স্ত্রী মাকড় খুবই ক্ষুদ্র লাল রঙের তবে খালি চোখে এদেরকে গাছের পাতার উল্টোদিকে দেখতে পাওয়া যায়। এরা ডিম্বাকৃতি ও লম্বায় ০.৪৮ মি মি। পুরুষ মাকড় পীতাভ লাল, লম্বায় ০.৩২ মি মি। পাতার উল্টোদিকে লাল মাকড় সূক্ষ্ম জাল তৈরি করে। জুলাই হতে আগস্ট মাস পর্যন্ত আক্রমনের সময় ।প্রথমে এরা পরিপক্ক পাতার উল্টোদিকে বসে রস চুসে খায়, ফলে পাতা হলদে রং ধারণ করে। এরা গাছের নিচের দিকের পাতা খেতে খেতে উপরের দিকে উঠে এবং আক্রমণ ব্যাপক হলে এরা গাছের কচি পাতার রসও খেয়ে ফেলে। ফলে গাছের সব পাতা হলুদ বর্ণের হয়ে যায় এবং পাতা ঝরে পড়ে। লাল মাকড় পাটের জন্য গৌণ ক্ষতিকারক হিসেবে পরিচিত।
পাট হলুদ মাকড়
কাণ্ড , পাতা পূর্ণ বয়স্ক মাকড় আকারে খুবই ক্ষুদ্র ( ০.১৭ মি মি ও ০.০৯ মি মি চওড়া) এবং অণুবীক্ষণ যন্ত্র ছাড়া খালি চোখে এদের দেখা যায় না। স্ত্রী মাকড় প্রথমে সাদা থাকে। পরে আস্তে আস্তে হলুদ বর্ণের হয়। এই জন্য এদের কে সাদা মাকড়ও বলা হয়। স্ত্রী মাকড় ডিম্বাকৃতি এবং শরীরের উপরে মাঝখানে লম্বালম্বি একটা সাদা দাগ আছে। এদের চারজোড়া পা আছে। পুরুষ মাকড়ের শরীর মাঝখানে চওড়া এবং পিছন দিকে সরু। সাধারণত এরা পিছন দিক উচু করে রাখে। এপ্রিল হতে সেপ্টেম্বর এই সম্যে আক্রমণ করে । ইহা মুখ্য মাকড় হিসাবে চিহ্নিত । হলুদ মাকড় আগার কচি পাতার নিচের দিকে থাকে এবং আক্রমণ করে । কচি পাতার রস চুষে খায়। এতে পাতা কুকড়ে যায় এবং তামাটে রং ধারন করে । শেষ পর্যন্ত আক্রান্ত পাতা পরে যায় । আক্রমণ বেশী হলে পাতা ঝরে পড়ে, গাছের ডগা নষ্ট হয়ে যায় । ফলে গাছের বৃদ্ধি কমে যায় ও পড়ে শাখা-প্রশাখা বের হয় । হলুদ মাকড়ের আক্রমণ গাছের বৃদ্ধি ১৫-১৬ সেমি পর্যন্ত কমে যেতে পারে ।