ক্যাটাগরি

পোকামাকড়



ফসলের জাত পরিচিত

ফসলের রোগ

সেচ ব্যবস্থাপনা

আবহাওয়া ও দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা

চাষপদ্ধতি

বীজ উৎপাদন ও সংরক্ষণ

মৃত্তিকা ও সার ব্যবস্থাপনা

ফসল সংগ্রহ ও সংরক্ষণ

আগাছা ব্যবস্থাপনা

বীজ ও বীজতলা

খামার যন্ত্রপাতি

কৃষি উপকরণ

ফসলের পুষ্টি মান

বাজারজাতকরণ

পোকার তথ্য

ফসল পোকামাকড় নাম ফসলের যে অংশে আক্রমণ করে পোকামাকড় চেনার উপায় প্রধান ক্ষতির লক্ষণ
পাট উড়চুংগা
শিকড় , কান্ডের গোঁড়ায় পূর্ণবয়স্ক পোকা ৫ সেমিঃ পর্যন্ত লম্বা কালো বাদামি রঙের, মাথা সামনের দিকে চ্যাপ্টা, চোখগুলো বড়, লম্বা শুঙ্গ বিশিষ্ট যাহা বহুখণ্ডে বিভক্ত, পেছনের পা জোড়া বেশ মোটা ও লম্বা এবং পায়ে সারি সারি কাটা আছে। চৈত্রের মাঝামাঝি থেকে জ্যৈষ্ঠের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত( এপ্রিলের ১ম সপ্তাহ থেকে মে মাসের শেষ) আক্রমণ করে । পাটের চারা এ পোকা দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এরা দিনের বেলা গর্তে লুকিয়ে থাকে এবং সন্ধার পর গর্ত হতে বের হয়ে চারা গাছের গোঁড়ার অংশ খায় ও গোড়া কেটে দেয়। এ পোকার আক্রমণের ফলে ক্ষেতের মাঝে মাঝে মরা গাছ দেখা যায়। অনাবৃষ্টির সময় এদের আক্রমন বেড়ে যায় এবং বৃষ্টিপাতের পর এদের আক্রমন কমে যায়। ইহা মুখ্য পোকা হিসাবে চিহ্নিত ।
পাট বিছা পোকা/ শুয়ো পোকা (Hairy Caterpillar) পাতা পূর্ণবয়স্ক পোকা একটি মাঝারী আকারের হালকা বাদামী রং এর মথ। এদের পাখায় কালো ফোঁটা আছে। স্ত্রী মথ পাটের পাতার উল্টো দিকে গুচ্ছকারে ডিম পাড়ে। প্রথমে ডিমের রঙ সবুজ ক্রমশঃ বাদামি ও পরে কালো রঙ ধারণ করে। বাচ্চা কীড়া হালকা সবুজ বা হলুদ বর্ণের হয় এবং পূর্ণবয়স্ক কীড়া কমলা বা গাঢ় হলুদ রঙের হয়। লম্বায় ৪-৫সেমিঃ ও চওড়া ০.৮ সেমিঃ । ডিম ফুটে বাচ্চা বের হবার পর থেকে এরা পাতার নিচে থাকে ও পাতার সবুজ অংশ খেয়ে পর্দার মতো করে ফেলে। দলবদ্ধভাবে ৬-৭ দিন থাকার পর এরা গাছের সব পাতায় ছড়িয়ে পড়ে ও সবুজ অংশ খেয়ে ফেলে। এ অবস্থায় আক্রান্ত পাতা অনেক দূর থেকে সহজেই চেনা যায়। বড় হবার সাথে সাথে এরা সারা মাঠে ছড়িয়ে পড়ে এবং পুরো পাতা খেয়ে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি করে। আক্রমণ বেশি হলে এরা কচি ডগা পর্যন্ত খেয়ে গাছকে পাতাশূন্য বা ডাটাসার করে ফেলে ।ফলে গাছের বৃদ্ধি কমে যায় ও আঁশের ফলন কম হয়।এ পোকা পাটের মুখ্য পোকা হিসেবে চিহ্নিত
মুগ ডাল শুসরী পোকা সব পূর্ণ বয়স্ক পোকা খুব ছোট আকারের। এদের মাথায় দুইট করাতের মতো লম্বা শুং আছে। কীড়া প্রায় ৬ মিলিমিটার লম্বা, সাদা রঙের তবে মুখটা বাদামী রঙের হয়। এ পোকা ডালের খোসা ছিদ্র করে ভিতরে ঢুকে শাঁস খেতে থাকে। ফলে দানা হাল্কা হয়ে যায়।
পাট ছাতরা পোকা কচি পাতা ছাতরা পোকা মেস্তা ও কেনাফের একটি প্রধান ক্ষতিকারক পোকা। স্ত্রী পোকা দেখতে লম্বাটে গোল এবং হালকা গোলাপি রঙের, পোকাগুলো একসাথে থাকে ও এদের উপরিভাগ সাদা তুলার মতো গুড়ায় আবৃত থাকে। এরা ৫ মি মি লম্বা ও ৩ মি মি চওড়া হয়। এদের দেহের পিছনেও সাদা সুতার মতো লেজ আছে তবে তা পুরুষ পোকার চেয়ে অনেক ছোট। তবে এর পাখায় শিরা খুবই কম। এদের দেহের পিছন দিকে ১ মি মি লম্বা সাদা সুতার মতো লেজ আছে। পুরুষ পোকার শুঙ্গ স্ত্রী পোকার চেয়ে অনেক লম্বা। স্ত্রী পোকার কোন পাখনা নেই । ছাতরা পোকা কচি পাতার উপরের দিকে, শাখা - প্রশাখায় ডগায়, পাতার বোঁটায় , গোঁড়ায় অথবা কাণ্ডের কচি ডগায় অবস্থান নেয়। ছাতরা পোকা গাছের ডগায় দল বেঁধে বাস করে এবং কচি ডগা ও পাতার রস চুসে খায়। ফলে কচি ডগা ও পাতাগুলো কুঁকড়ে যায় এবং আক্রান্ত স্থান ফুলে উঠে। কোঁকড়ানো পাতাগুলো ঝড়ে যায় ও আক্রান্ত স্থান হতে শাখা প্রশাখা বের হয়। এতে লম্বায় বাড়ে না ও আক্রান্ত স্থান ভাল করে পচে না ফলে আঁশ নিম্ন মানের হয়। বীজ ফসলে আক্রমণ করলে বীজের মান খুব কম হয়।
মরিচ ফল ছিদ্রকারী পোকা
ফল ছোট ছোট কীড়ার মত, দেখতে সচ্ছ পাতা চামড়ার মত হয়ে যায় এবং শিরাগুলো মোটা হয়। পাতা এবং কচি কাণ্ড লালচে বর্ণের হয়। ফুলের কুঁড়ি বাঁকানো এবং মোচড়ানো হয়।
মুগ ডাল কান্ডের মাছি পোকা সব এ পোকা দেখতে খুবই ছোট (প্রায় ৩ মিলিমিটিার)। আকারে সাধারণ মাছির চারভাগের একভাগ। লাল রঙের চোখযুক্ত উজ্জ্বল কালো রঙের মাছি। গাছের উপরের পাতাগুলো হলুদ হয়ে নেতিয়ে পড়ে।
টমেটো পাতা সুড়ঙ্গকারী পোকা
সব এ পোকার কীড়া ছোট আকারের, দেখতে হলদে থেকে হালকা সবুজ রঙের। মাথা বাদামী রঙের্। পূর্ণবয়ষ্ক কীড়া ৫-৬ মিলিমিটার লম্বা হয়। পূর্ণাঙ্গ পোকা বাদামী রঙের এবং আকারে খুবই ছোট। ফলে পাতার আক্রান্ত অংশটুকু স্বচ্ছ পর্দার মত দেখায় এবং পাতা ফ্যাকাশে বর্ণের হয়ে যায়।
টমেটো ফলছিদ্রকারী পোকা
কাণ্ড , ডগা , ফল , কান্ডের গোঁড়ায় প্রাপ্ত বয়স্ক ও বড় আকারের কীড়ার গায়ের রঙ কিছুটা কালো ধরণের এবং গায়ের উপর লম্বালম্বি দাগ থাকে। পুত্তলি গাঢ় বাদামি রঙের ও পিছনের দিকে দুইটি ধারালো কাটা থাকে। মথ হালকা বাদামি রঙের। ফল ছিদ্র করে ভিতরে কুড়ে কুড়ে খায়।
< প্রথম 1 | 2 | 3 | 4 | 5 | 6