ক্যাটাগরি

পোকামাকড়



ফসলের জাত পরিচিত

ফসলের রোগ

সেচ ব্যবস্থাপনা

আবহাওয়া ও দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা

চাষপদ্ধতি

বীজ উৎপাদন ও সংরক্ষণ

মৃত্তিকা ও সার ব্যবস্থাপনা

ফসল সংগ্রহ ও সংরক্ষণ

আগাছা ব্যবস্থাপনা

বীজ ও বীজতলা

খামার যন্ত্রপাতি

কৃষি উপকরণ

ফসলের পুষ্টি মান

বাজারজাতকরণ

পোকার তথ্য

ফসল পোকামাকড় নাম ফসলের যে অংশে আক্রমণ করে পোকামাকড় চেনার উপায় প্রধান ক্ষতির লক্ষণ
পটল পটলের থ্রিপস পোকা পাতা , ডগা , সব , ফল , ফুল - পোকা গাছের কচি পাতা ও ফুলের রস শুষে খেয়ে গাছকে দুর্বল করে ফেলে ও ফল ধরেনা । এরা কচি ফলেও আক্রমণ করে তাই ফল বড় হলে ফলের উপর দাগ দেখা যায়।
পটল পটলের পাতামোড়ানো পোকা আগা , কাণ্ড , পাতা , কচি পাতা , কান্ডের গোঁড়ায় - * ক্ষেত পরিস্কার পরচ্ছন্ন রাখুন । * ক্ষেতে ডাল পুতে পাখি বসার ব্যবস্থা করুন ( বিঘা প্রতি ৮-১০ টি) * নিয়মিত মাঠ পরিদর্শন করে আক্রমণের শুরুতেই ব্যবস্থা নিন
বেগুন জাব পোকা কাণ্ড , পাতা , কচি পাতা , ফুল পূর্নাঙ্গ পোকা এবং বাচ্চা উভয় ই দেখতে ছোট আকৃতির, নরম, বাদামি অথবা বাদামি কাল রঙের । দলবদ্ধ ভাবে থাকে। দেহের পিছনে উভয় দিকে একজোড়া কালো নল আছে। পূর্নাঙ্গ পোকা এবং বাচ্চা গাছের পাতা, কচি কাণ্ড, ফুল ও ফলের কুঁড়ি, বোটা এবং ফলের কচি অংশের রস চুষে খায়, ফলে গাছ দুর্বল ও হলুদ হয়ে যায়, পাতা কুচকে যায় । ফুল ও ফল অবস্থায় আক্রমন হলে ফুলের কুঁড়ি ঝারে পড়ে । আক্রমনের মাত্রা বেশি হলে কচি ডগা মারা যায়।
বেগুন পাতা মোড়ানো পোকা পাতা , কচি পাতা বাদামি রংয়ের একধরনের মথ । ডিম থেকে কীড়া বের হয়ে লালা দিয়ে কচি পাতা লম্বা লম্বি ভাবে মুড়িয়ে ফেলে । পাতা খুললে ভিতরে কীড়া পাওয়া যায়। মুড়ানো পাতা শুকিয়ে ঝরে পড়ে ।
বেগুন জ্যেসিড/ শোষক পোকা/ হোপার/ শ্যামা পোকা পাতা , ডগা , কচি পাতা হালকা সবুজ রংয়ের ফড়িং জাতীয় পোকা, পাখার পিছনে কাল দাগ আছে। বাচ্চা ও সবুজ ধরনের। কচি পাতার রস চুষে খাওয়ায় পাতা কুকড়ে নিচের দিকে বেকে আসে, পাতা বিবর্ন হয়ে তামাটে রং ধারণ করে ,পরে মারা যায়।
বেগুন কাঁটালে/কাঁঠালে পোকা/ইপিলেকনা বিটল কাণ্ড , পাতা , শিকড় বয়স্ক পোকা ডিম্বাকৃতির , হালকা থেকে গাঢ় লাল, ৬-৭ মিলি লম্বা পোকা, উপরের পাখনায় কয়েক জোড়া দাগ থাকে। কীড়ার গায়ের রং হলুদ, চ্যাপ্টা, গায়ে কাঁটা থাকে । দেখতে আনেকটা কাঁঠালের মতো দলবদ্ধভাবে আক্রমন করে। আক্রান্ত পাতার সবুজ আংশ খেয়ে জালিকার মত ঝাঁঝরা করে ফেলে।
বেগুন কাটুই পোকা শিকড় , কান্ডের গোঁড়ায় ছোট আকারের মথ , হালকা বাদামি রং এর দুই জোড়া পাখা যুক্ত, নিশাচর। ভিতরের পাখাতে ধুসর শিরা/ জালিকা দেখা যায়। কীড়ার রং বেগুনী থেকে বাদামি বেগুনী। রাতে চারার গোড়া কেটে ফেলে
বেগুন ডগা ও ফল ছিদ্রকারী পোকা ডগা , ফল ছোট আকারের মথ , ৮-১২ মি মি লম্বা সাদা রং এর দুই জোড়া পাখাতে ছিট ছিট বাদামি দাগ থাকে, স্ত্রী মথ একটু বড় ডগা ও ফল ছিদ্র করে কুড়ে খায়। আক্রান্ত ডগা ঢলে পড়ে শুকিয়ে যায় । ফলে আক্রমন হলে তা খাওয়ার অনুপযোগী হয়ে যায়
মসুর ফল ছিদ্রকারী পোকা কাণ্ড , পাতা , ফল , ফুল কচি পতা, ফুল ও ডগা কীড়ায় আক্রমণ করে। ফল বাড়ার সময়ে কীড়া ফল ছিদ্র কওে নরম অংশ খায়। -
মসুর জাব পোকা আগা , পাতা , ফল , ফুল - পাতা, ফুল ও কচি ফলের রস চুষে খায়
কচু ফল ছিদ্রকারী পোকা ফল , ফুল - কচি পতা, ফুল ও ডগা কীড়ায় আক্রমণ করে। ফল বাড়ার সময়ে কীড়া ফল ছিদ্র কওে নরম অংশ খায়।
কচু জাব পোকা পাতা , ফুল - পাতা, ফুল ও কচি ফলের রস চুষে খায়
ভুট্টা আদার কন্দ ছিদ্রকারি পোকা ডগা এক ধরণের মথ পোকার ডিম থেকে বের হওয়ার পর সদ্যজাত কীড়া কন্দ ছিদ্র করে ভেতরে ঢুকে এবং কন্দের ভিতেরর অংশ খায়। আক্রান্ত গাছ হলুদ হয়ে যায়। পরে কন্দের পচন ধরে। আক্রমণের মাত্রা বেশি হলে গাছ থেকে কোনো ফলন পাওয়া যায় না। এ পোকা আদার রোগের সঙ্গে সম্পর্কিত। এ পোকা ডিম পাড়া এবং বাড়নের জন্য ছত্রাক আক্রান্ত আদা গাছ পছন্দ করে। রোগাক্রান্ত কন্দের ভিতর পোকার কীড়া এবং পিউপা দেখা যায়। এ ছাড়াও পূর্ণ বয়স্ক পোকাগুলো আদা গাছে ব্যাকটেরিয়া জনিত উইল্ট/ পচনের বাহক হিসেবে কাজ করে।
ভুট্টা আদার কান্ড ছিদ্রকারি পোকা কাণ্ড এক ধরণের মথ ডিম থেকে বের হওয়ার পর সদ্যজাত কীড়া আদার গাছ ছিদ্র করে ভেতরে ঢুকে এবং গাছের মাঝের অঙ্গ খায়। আক্রান্ত গাছ হলুদ হয়ে যায়। পরবর্তীকালে মাইজ পাতা শুকিয়ে যায়।
পেঁয়াজ পেঁয়াজের কাঁটুই পোকা কাণ্ড , কান্ডের গোঁড়ায় বয়সী পোকা এক ধরনের মথ । ডিম ফুটে কালো মাথাওয়ালা মেটে রঙের ৫-৬ সেমি কীড়া ফসলের করে এ পোকা রাতের বেলা চারা মাটি বরাবর কেটে দেয়। সকাল বেলা চারা মাটিতে পড়ে থাকতে দেখা যায় ।